Breaking News

বাইশের বন্যা । ডাকাতের রাত । পর্ব - ১০ । লিখা- তাসরিফ খান



মাঝির কথাগুলো শুনে আমার গা ছমছম করছে । শ্রাবনকে ধরে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। সবাইকে কী বলবো, কী করবো-কিছুই জানি না। মেহেদি কাছে এসে শ্রাবনকে ডেকে বললো, ভাই তোমার কাছে কত টাকা আছে? শ্রাবন বললো, নব্বই হাজারের বেশি আছে ।
ভাই, টাকাগুলা পলিথিনে ভইরা আমারে দেও। আমি লাফ দিয়া সাঁতরাইয়া যামুগা কোনো দিকে। বোটে কয়েকটা বস্তা আছে মাত্ৰ । ডাকাইত নিলে এইগুলা লইয়া যাক ।
না। যা করার একসাথে করবো ।

ভাই আমি এলাকার পোলা, সব চিনি-জানি। আমার কিছু হইবো না । কিন্তু মাইনষের এই আমানতের টাকা ডাকাইতের হাতে দিমু না ভাই ।
আমি মেহেদির দিকে তাকিয়ে আছি । আমার মুখে কোন শব্দ নেই । শ্রাবন মেহেদিকে বললো, আরেকটু অপেক্ষা করি । আল্লাহ ভরসা, কিছু একটা হবে । যদি এর মধ্যে ধইরা ফেলায়?
শ্রাবন এবার জোড় গলায় বললো, আমরা এতগুলা পোলা মানুষ থাকতে ডাকাইতগো এমনে এমনে কিছু দিয়া দিমু না ।
শ্রাবনের কথা শুনে আমি মনে মনে সাহস পেলাম। এর মাঝে ফাহিম বললো, 
তাসরিফ ভাই, রিং ঢুকছে ।
আমি ফাহিমের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে কানের কাছে ধরলাম । অপর প্রান্ত থেকে ফোন রিসিভ হতেই আমি বললাম, হ্যালো সালাহ উদ্দিন ভাই? হ্যাঁ তাসরিফ ভাই, বলেন ।
ভাই আমরা তো বিপদে পড়ে গেছি। আমাদের ডাকাত তাড়া করতেছে। কতজন হবে?
ভাই তিনটা ট্রলার।

আপনারা কোথায় আছেন?
আমরা নোয়াখালী বাজার পার হয়ে গেছি কিছুক্ষণ আগে ।
আপনারা ঘাবড়ে যাইয়েন না। আমাদের পাঁচ-সাত মিনিট লাগবে এই পর্যন্ত আসতে । ডাকাতের ট্রলার কতদূর?
কাছাকাছি ।
একদম কাছাকাছি যদি এসে পড়ে তাহলে আপনারা লাইফ জ্যাকেট পরে দাঁড়াবেন। লাইফ জ্যাকেটের সাথে যে বাঁশিটা থাকে, সবাই জোরে জোরে

চলবে....

কোন মন্তব্য নেই