Breaking News

বাইশের বন্যা । ডাকাতের রাত । পর্ব - ১২ এবং শেষ । লিখা- তাসরিফ খান


কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ক্যাম্পে পৌঁছাই । যাবার পথে মাঝি কয়েকবার বলছিলো,

স্যার, ডাকাইত তো আপনেগোরে ধরতে পারে নাই; যাওনের সময় আমারে একলা পাইলে মাইরা ফালাইবো । সেনাবাহিনীরে কইয়া দুইজন লোক দিয়া দিয়েন আমার লগে। আর যদি পারেন আমারে দুইডা বস্তা দিয়েন, আপনেগোর তো বাড়তি আছে ।

ক্যাম্পে পৌঁছে লেফটেন্যান্ট সাকিবকে পুরো ঘটনা খুলে বললাম। সবকিছু শুনে তিনি আমাকে কয়েকটা প্রশ্ন করলেন।

আচ্ছা তাসরিফ ভাই, আপনার কী মনে হয়? ডাকাতদল আপনাদের কেন তাড়া করলো?

ভাই, ঠিক বুঝতে পারছি না

নৌকায় আপনার দলের সদস্য ছাড়া আর কে কে ছিলো?

মাঝি এবং তার দুইজন সহকারী ছিলো ।

আপনারা কি নৌকার উপর টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে কোনো কথা বলেছেন?

জি । শ্রাবন বন্যার্তদের ক্যাশ টাকা দিচ্ছিলো ।

আচ্ছা। তাসরিফ ভাই আপনি কি জানেন, এই এলাকাগুলোতে যারা ডাকাতি করছে তারা এখানকার স্থানীয় কোনো ডাকাত চক্র?

জানতাম না ভাই ।

আরো পড়ুনঃ

আপনাদের তো তিনটা ট্রলার নিয়ে ডাকাতদল তাড়া করেছিলো। এই বিষয়টি কি বুঝতে পারছেন, এটা তাৎক্ষণিক কোনো প্ল্যান নয়?

হ্যাঁ, এখন তো তাই মনে হচ্ছে ।

লেফটেন্যান্টের সন্দেহ হলো, এই ঘটনার সাথে মাঝি হয়তো কোনোভাবে জড়িত। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

মাঝি কোথায়?

আমি বললাম, মাঝি ঘাটে অপেক্ষা করছে ।

তিনি সাথে সাথেই দুইজন সেনা সদস্যকে পাঠালেন মাঝিকে ডেকে আনতে। একটু পর তাঁরা ফিরে এসে বললেন,

স্যার, ঘাটে কোনো নৌকা নেই । মাঝি ভাগছে!


<> সমাপ্ত <>

কোন মন্তব্য নেই