Breaking News

সিনিয়র এর সাথে বিয়ে

--কিরে আর কতক্ষন ঘুমাবি এখনত উঠ কলেজে কখন যাবি?
--হুম উঠতেছি!
--আবার শুরু করছস প্রতিদিন এক কথা আমি গেলাম আর আবার তুই নাক ডেকে ঘুমাবি!এখন তু উঠবি না আমি ওটা নিয়ে আসব?
--না আর লাগবে না আমি উঠতেছি।
--হুম এইত লক্ষী ছেলে এবার উঠে ফ্রেস হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।
--হুম যাচ্ছি।

আসলে আমার সবার থেকে বোধয় ঘুম একটু বেশিই।আর এতক্ষন যার সাথে কথা বললাম আপনারা বুধয় বুঝচ্ছেন এই ওনি আমার কে হয়।হুম ওনি আমার কলিজার টুকরা আম্মাজান।আসলে তিনি আমার এই এক রোগের ঔষধ পাইছেন প্রতিদিনই এই ভাবে ব্ল্যাক ম্যাইল করে উঠান।আসলে শুধু ব্ল্যাক ম্যাইল না না উঠলে সত্যি সত্যি পানি ঢেলে দেন।অনেক বার এরকম করেছেন তাই ভয়ে উঠে পরি। ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম তখন মা বলল,,,,,,
.
--আফান আমাদের উপরের তলা কাল ভারা দিয়ে দিছি তারা আজ বাসায় আসবে, তুই একটু তাদের সাহায্য করিস!
--কেন আমি কেন সাহায্য করব অনার ছেলে নেই?
--নেই বলেইত তকে বলছি।ওনার নাকি শুধু একটা মেয়ে আছে!
--আচ্ছা পরে দেখা যাবে।
.
.
যাক তাহলে বুধয় একটা প্রেম এখন করতে পারব।জীবনে একটা প্রেমও করতে পারলাম না।মেয়ের যখন আর ভাই বোন নেই তাহলে বুধয় লাইন ও ক্লিয়ার। খুশি মনে নাস্তা করে রেডি হতে লাগলাম।আচ্ছা আপনাদেরত আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয়নি।রেডি হতে হতে পরিচয়টা দিয়ে দেই কেমন।আমি হচ্ছি রিমন আহমেদ আফান।আমিও আমার বাবা মার আদরের একটা বাদঁর ছেলে।আমি এবার ইন্টার দ্বীতিয় বর্ষের ছাত্র।বাবা অনেক বার বলল ওনার ব্যবস্যা কিছু সাহায্য করতে কিন্তু আমি গুরি আর কাই বুঝেন এইত আমি কেমন ছেলে।আপনাদের বলতে বলতে আমার রেডি হওয়া শেষ।রেডি হয়ে কলেজের জন্য ঘর থেকে বেড় হলাম।গেইট দিয়ে বেড় হওয়ার সাথে সাথে আমি একটা মেয়ের সাথে দাক্কা খেলাম।ওমনি মেয়েটা মাটিতে পড়ে গেল।আমি মেয়েটাকে তুলতে হাত বাড়ালাম কিন্তু মেয়েটি আমার দিকে এমন রাগি চোখ নিয়ে তাকিয়ে রইল।তারপর উঠে আমাকে মেয়েটি বলল.......
.
.
--কি ব্যাপার চোখে কি কম দেখেন নাকি?(মেয়েটি)
--যাহ বাবা আমি আবার চোখে কম দেখব কেন?(আমি)
--তা নয়ত কি সাত সকালে এসেই দাক্কা।আসলে আপনাদের মত ছেলেদের এই এক সমস্যা মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না।
--ও হ্যাল মুখ সামলে কথা বলুন!আমি আপনাকে কি নিজে থেকে দাক্কা দিলাম।আচ্ছা তাহলে আপনি চোখে কম দেখেন নাকি?
--কি আমি চোখে কম দেখি?
--তা নয়ত কি আমি না হয় কম দেখি তাই বলে আপনি কি চোখে দেখেন নাই?
--ওই আমি কি তোমাকে দাক্কা মারছি তুমি এইত কোথা থেকে এসে আমাকে দাক্কা দিলে!
--কি বজ্জাত মেয়েরে বাবা আমিত বাহির হতেই দাক্কা লাগল আমি কি আপনাকে দেখছি?
--আমি জানি এটা আপনি ইচ্ছে করেই  করছেন।আর আপনি আমাকে বজ্জাত বলছেন,আপনি হচ্ছেন একটা অসভ্য ইতর ছেলে!
--কে অসভ্য আর কে সভ্য তা ভাল করেই বুঝা হয়ে গেছে।
--সাত সকালে কেন যে এমন পাগলের পাল্লায় পড়লাম আল্লাই জানে।
--আমি পাগল না আপনি হচ্ছে একটা মহা পাগল।
--দুর আপনার সাথে কথা বলাটাই ভুল হয়েছে।
--হুম জান জান আমি বুধয় আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক।
.
.
মেয়েটা আর কিছু না বলে রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেল।কেন যে সাত সকালে এমন মেয়ের সাথে আমার দেখা হল।এই মেয়ে যার কপাঁলে জুটবে তার জীবনটাই ত্যাজ পাতা করে ছারবে।আল্লাহ জেন আমার মত ভাল ছেলের কপাঁলে এমন মেয়ে না জুটায়।
.
কলেজে এসে বন্ধুদেরকে এই গঠনা খুলে বললাম।সবাই শুনে হাসতে হাসতে একেবারে শেষ।কেন না যে শুনবে সেই একই ভাবে হাসবে।ক্লাস শেষ করে বাসায় গেলাম।বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে রুমে গেলাম।
সন্ধায় সময় আমি মোবাইল টিপছিলাম তখন মার রুম থেকে কাদের জেন হাসাহাসির শব্দ শুনা যাচ্ছে।রুমে গিয়ে আমিত ব্যাকা চ্যাকা খেয়ে গেলাম।সকালের এই বজ্জাত মেয়ে এখানে কি করে আর তাও মার সাথে।সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেকজন মহিলাও আছে।আমার মনে হচ্ছে এরাই বুধয় নতুন ভারাটিয়া।এই মেয়ে যা বজ্জাত আমাকেত সারা সময় বুধয় জালিয়ে মারবে!আমি ওদেরকে না দেখার ভান করে বাসায় থেকে বেড়িয়ে যাব তখনই মা আমাকে ডাক দিল।মাও ডাক দিবার আর সময় পেল না।আমি মাকে বললাম.......
.
---কি মা ডাকছ কেন?(আমি)
--এদিকে আই তাদের সাথে তর পরিচয় করিয়ে দেই!(মা)
--আমি ঘুরে মার কাছে যাবার সাথে সাথেই বজ্জাত মেয়েটা মাকে বলল.....
.
--আংটি এটাই কি আপনার ছেলে!
--হ্যা মা ও এই আমার একমাত্র লক্ষি ছেলে!

ছেলে যতই খারাপ হোক না কেন ওন্যদের কাছে তার ছেলের কত প্রশংসা করবে।আম্মুর কথাই মেয়েটা বলল,,

--হুম ঠিকি বলছেন আংটি আপনার ছেলের মত লক্ষি ছেলে আর বুধয় একটাও নাই!
--কেন তুমি তার সাথে আগেও কথা বলছিলে?
--হুম আপনাকে বললাম না সকালের ওই বজ্জাত ছেলেটার কথা ওনিই হচ্ছে সেই লক্ষি ছেলে।
--কি ও তোমার সাথে এরকম ব্যবহার করছে?
--হুম ও এই সকালে আমার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করছে!
--কিরে তকে আমি কত ভাল ভাবতাম আর তুই মেয়েদের সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করিস?
--কেন মা ওনি কি কম বলছেন আমাকে!
--তারপরেও ও তর তর বড় হয় এখন তুই ওর কাছে ক্ষমা চা?
--আমি কেন ক্ষমা চাইব দুশত করছি দুজনেই?
--আমি বলছি তাই তুই ক্ষমা চাইবি!
--আমি পারব না!
--কি তুই পারবি না?

যেভাবে চোখ রাঙ্গাল আমি ভয়ে বললাম,

--হুম বলছি,,,
.
.
এই যে বজ্জাত মেয়ে আমাকে কি ক্ষমা করবেন!
বলার সাথে সাথেই মা যেভাবে উঠল আমি ভয়ে দৌড়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।না জানি আজ আমার কপাঁলে কি আছে।তারপর সুজা আড্ডা দিতে চলে গেলাম বন্ধুদের কাছে। আড্ডা দিতে দিতে প্রাই দশটা বেজে গেল।সবাইকে বিদায় দিয়ে বাসার রওয়ানা দিলাম।জানিনা আজ কপাঁলে কি আছে।আসলে আমি মাকে একটু বেশি ভয় পাই তাই।কখন যে বাসায় সামনে এসে গেছি খেয়ালি নেই।ভয়ে ভয়ে সিরি দিয়ে উঠতে লাগলাম।হঠাত দেখলাম কে জেন নিচে আসতেছে।জানি এই সময় মা আসবে না তাই আমিও উঠতে লাগলাম।কিছুক্ষন বাদেই দেখলাম সেই বজ্জাত মেয়েটা আসতেছে।এখন আমি কি করব আবার ওর সাথে জগরা করতে হবে।মেয়েটা আমাকে দেখেই দারিয়ে গেল।এমন ভাবে থাকাল বুধয় আমাকে গিলে ফেলবে।আমি ওর থাকানু দেখে ভয় পেয়ে গেলাম না জানি এখন কি করে।

কোন মন্তব্য নেই