Breaking News

বাইশের বন্যা । ডাকাতের রাত । পর্ব - ০৫ । লিখা- তাসরিফ খান



কীভাবে আপনাদেরকে পারমিশন দেই বলেন? ঐদিকে এত বেশি স্রোত যে কোনো নৌকা যেতে পারছে না। গতকাল এত পাওয়ারফুল ইঞ্জিন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দুইটা স্পিডবোট অ্যাকসিডেন্ট করেছে ।
সবাই ঠিক আছে তো?

হ্যাঁ ঠিক আছে । তবে দুইজন ভেসে যাচ্ছিলো তাদের কোনোভাবে সাঁতরে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ভয়ানক রিস্কের মধ্যে আমি কোনো স্বেচ্ছাসেবী দলকে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারছি না বলে দুঃখিত । আপনারা যদি একান্তই ঐদিকে খাবার পৌঁছে দিতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে খাবার রেখে যেতে পারেন অথবা আগামীকাল ভোর ছয়টার মধ্যে আপনাদের থেকে দুই-একজন ত্রাণ নিয়ে এসে আমাদের সাথেও যেতে পারেন।

স্যার, আমরা টিমের সাথে একটু কথা বলে তারপর আপনাকে জানাই? শিওর, টেক ইয়োর টাইম ।
এরপর আমি আর শ্রাবন নিজেদের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিই, যেহেতু আমাদের কাছে এক হাজার বস্তা ত্রাণ রয়েছে সেহেতু আমরা এই ক্যাম্পে দুইশত পঞ্চাশ বস্তা ত্রাণ দিয়ে বাকি ত্রাণ নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌঁছাবো 1 কারণ, ওখানে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। সাব্বিরকে কল করলাম, হ্যালো সাব্বির, তোরা কই?
ভাই তোমরা কই আছো?

আরো পড়ুনঃ

আমরা গোবিন্দগঞ্জের ক্যাম্পে আছি।
ওহহ ক্যাম্পে... আমাদের আর আধা ঘণ্টার মতো লাগবে আসতে। শোন, এখানে ক্যাম্প থেকে আমাদের নিষেধ করেছে। সেনাবাহিনী কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ঐদিকে যেতে দিচ্ছে না।
কেন?
আরে গতকাল ঐখানে সেনাবাহিনীর দুইটা স্পিডবোট অ্যাকসিডেন্ট
করেছে।
ভাই শোনো, আমরা যেভাবেই হোক আজকে দুয়ারা যাবোই । ঐদিকের মানুষ এখনো না খাওয়া ।
কেমনে যাবি?
ভাই আমরা অন্য কোনো রাস্তা দিয়া যতক্ষণই লাগুগ, ঐদিকে যামুগা । ঐদিকে কিন্তু ভীষণ স্রোত। তোরা যাইতে পারবি শিওর?
ভাই আমগোরে নিয়া চিন্তা কইরো না। আমরা যাইতেছি। তোমরা এক কাজ করো, অন্য কোনো দিকে যাও ।

চলবে....

কোন মন্তব্য নেই