Breaking News

ভালোবাসি তোমায় অনেক বেশি | Writer: Rabiul islam Rabi.


জয়া: রবি তুমি কি আমাকে সত্যি অনেক ভালোবাস।

আমি: হুম

জয়া: আমার জন্য সব করতে পারবে

আমি: হুম পারবো কিন্তু তুমি হঠাত করে এসব কথা বলতেছো কেন

জয়া: তুমি তো চাও আমি সব সময় সুখে থাকি তাই না

আমি: হুম তাই

জয়া: তাহলে আমার সুখের জন্য তোমাকে যে একটা কাজ করতে হবে

আমি: কাজ টা কি বলো আমি তোমার জন্য সব কাজ করবো

জয়া: আমি তোমার সাথে থাকলে সুখি হতে পারবো না

আমি: মানে কি বলতে চাও তুমি

জয়া: আমি ব্রেকআপ চাই। আর আমি শামিম কে লাভ করি ওর সাথে আমি সুখে থাকবো

আমি বুকের মধ্যে অনেকটা কষ্ট চেপে রেখে বললাম

আমি: সত্যি তুমি ওর কাছে সুখে থাককবে

জয়া: হুম

আমি: আমি কেন তোমাকে সুখে রাখতে পারবো না

জয়া: দেখ টাকা জার আছে তার কাছেই আমি সুখে থাকবো আমি বেশি

আমি: ও ভালো তো

জয়া: আমি এখন যাই শামিম আমার জন্য ওয়েট করতেছে।আর হ্যা আমাকে কোন রকম কল বা ম্যাসেজ দিবা না

আমি: ওকে যাও ( এই কথাটা বলার সময় আমার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরতেছে)

জয়া আমার সময় দিয়ে হেটে চলে গেলো আমি শুধু ওর চলে যাওয়াই দেখলাম

কারন আমি চাই ও সুখে থাক আর আমার মত গরিভ এর বাচ্ছা কখনো ওকে সুখে রাখতে পারবে না

ও হ্যা চলেন আগে আমাদের পরিচয় টা দিয়ে নেই

আমি হচ্ছি রবিউল ইসলাম রবি এবার এ অনার্স পাশ করে বাড়িতে বসে আছি কোন চাকরি নেই। আর প্রতি নিয়তো বাবার গালি খেতে হচ্ছে

আর যার সাথে ব্রেকআপ করলাম সে হচ্ছে জয়া অনার্স ফাইনাল ইয়ার বড়লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে

নিজেই এসে আমাকে প্রোপোজ করছিলো আজ আবার নিজের ইচ্ছায় চলে গেলো।

যাই হোক পরিচয় দিতে দিতে আমার বাড়িতেই চলে আসলাম

যখন আমি বাড়িতে ডুকতে যাবো তখনি বাবার কন্ঠ আমার কানে পড়লো আর বাবা বলতেছে

বাবা: ওই রকম কুলাংকার ছেলের আমার দরকার নাই। ওই রকম ছেলে মরলে ও আমার কিছু যায় আসে না

ও যেন আর আমার বাড়িতে ডুকতে পারে না। ও আজ বাড়িতে ডুকলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিবো

আমি তো বাবার বলা কথা গুলো শুনে থ হয়ে গেলাম

কারন বাবা প্রতিদিন আমাকে গালি দেয় আমি কোন কাজ করি না তাই

কিন্তু বাবা আজকে তার গালি দেয়ার সিমা ছেড়ে গেছে। বাবার কথা শুনে

খুব জোরে আমি কান্না করতেছি আর ভাবতেছি আম্মু থাকলে আজকে আর

আমাকে এত কষ্ট করা লাগতো না সকাল থেকে আমি না খেয়ে আছি

কারন বাড়িতে কোন খাবার নেই আমি তওন বেলো মিলে এক বেলা খাই শত মা ভালো করে খেতে ও দেয় না

তাই আর এত অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে না ডুকে

সেখান থেকেই হাটা দিলাম শহরের দিকে। আমি শহরের ভালো করে কোন যায়গা চিনি না

কেউ নেই আমার এত বড় শহরে যত সময় যাইতেছে তত খুদা বাড়তেছে আমার

অনেকেরেই দারে দারে গিয়েছি যে আমি তাকে কাজ করে দিবো

তার বিনি ময়ে আমাকে একটু যেন খেতে দেয় কিন্তু সবাই আমাকে চোর ডালাত ভেবে কাজে নেই নি

সেদিন সারা রাত পানি খেয়ে রাস্তার ধারে কাটিয়ে দিয়েছি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি রাস্তার পাশেই

কিছু বিরিয়ানি পরে আছে দেখে মনে হচ্ছে কেউ খেয়ে বাকিটা ফেলে দিছে

আমি সেগুলো নিয়ে খেলাম মজা হয়েছিলো অনেক। আর ভাবতেছি আর একটু যদি

পেতাম তাহলে আমার পেট টা একটু ভরতো

ওই গুলো খেয়ে আমি হাটা শুরু করলাম হাটতো হাটতে ভাবতেছি

কেন আমার জন্ম বড়লোক এর ঘড়ে হলো। আজ তারা কত সুন্দর করে জীবন যাপন করতোছে

আমি কেন পারি না মানুষ আমাকে একটু খাবার ও দেয় না কেন

আজকে খুব জয়ার কথা মনে পড়তোছো কত সুখেই না ছিলাম আমরা দুজন

হঠাত করে আমার জীবন টা কেন যেন তচনচ হয়ে গেলো

আমার ভাগ্যে কি আল্লাহ এত কষ্ট লিখে রাখছিলো নাকি

এসব ভাবতে ভাবতে হাটছিলাম আমি এমন সময় দেখতে পেলাম

এক বয়স্ক মহিলা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় কিছু ছেলে তার পথ আট কিয়ে ধারালো

সেটা দেখে আমি ওই খানে একটা বড় লাটি হাতে নিয়ে ওদের

দওকে দৌড় দিলাম আমার আসা দেখে ছেলে তিন টা ওনাকে

ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেলো( আমার আগে থেকে মারপিট করা একটু অভ্যাস আছে)

কারন কলেজ লাইফে আমার একটা দল ছিলো। আর আমি মারা মারি

খুনা খুনি ডাকাতি সহ সব করতাম আমার দলের লোক দের দিয়ে

আর যে ছেলে তিন টাকে দেখলাম তারাও এক সময় আমার

দলেই ছিলো তাই তো আমাকে দেখে ওরা পালিয়ে গেলো। কিন্তু ওরা রংপুর থেকে ডাকায় ডাকাতি করতে আসছে কপন

আমি জয়ার কথায় সব খারাপ কাজ বাদ দিয়ে দিয়ে ছিলাম

ওর কাছে শপত করছিলাম যে আর খারাপ কাজে লিপ্ত হবো না

তাই তো আজকে আমি রাস্তায় রাস্তায় ফকিরের মত ঘুড়ে বেরাচ্ছি

এসব ভাবতে ভাবতেই

আমি মহিলার কাছে গিয়ে বললাম

আমি: আন্টি আপনি এখন যান কেউ আর আপনাকে ধরবে না

আন্টি: কে বাবা তুমি আর কোথায় থাক তুমি

আমি: আমি রবি আর রাস্তায় রাস্তায় থাকি আমি। আমার আপন বলতে কেউ নেই তাই

আন্টি: আমি একটা কথা বলি রাখবা তুমি

আমি: ওকে বলেন আন্টি

আন্টি: তুমি যদি কিছু মনো না করতে তাহলে...............
.............চলবে........................

কোন মন্তব্য নেই